বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে মাতৃভাষা এবং হিন্দি ভাষাকে ঘিরে এক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেকেই ভাবছেন এটি সাধারণ ভাষাগত সমস্যা, কিন্তু আসলে এর পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় উদ্দেশ্য।
অনেক রাজনৈতিক নেতা এই ভাষা বিতর্ককে ব্যবহার করছেন নিজেদের স্বার্থে। যারা দেশের জন্য সত্যিকারের ভালো কিছু করতে পারে, সেই সব দলগুলোকে পিছনে ফেলে, তারা নিজেদের লোককে জোর করে সামনে আনার চেষ্টা করছে। তারা নিজেরাই বলছে, “আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি”, কিন্তু আসলে নিজেদের ক্ষমতা কায়েম রাখার চেষ্টা করছে।
এইভাবে নানা জায়গায় দেখা যাচ্ছে সরকারি অফিসগুলোর সাইনবোর্ডে হিন্দি লেখা কেউ মুছে ফেলছে। বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতের কিছু অঞ্চলে এই ঘটনা বেশি ঘটছে। যারা এটা করছে, তারা আসলে কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মী।
যারা দেশের উন্নতির কথা বলে, তারাই আজ এই বিভাজন সৃষ্টি করছে। তারা বোঝে যে ভাষার উপর আঘাত দিলে মানুষের আবেগে আঘাত লাগে, আর সেখান থেকেই তারা রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চায়।
অনেক বোকা মানুষও আছে যারা না বুঝেই তাদের সমর্থন করছে। এটাই তারা চায়। তারা জানে, ভারতবর্ষে এখনো অনেক মানুষ আছে যাদের শিক্ষার অভাব, যাদের অনুভব করে না এই রাজনীতির চাল।
বিহারেও একজন নেতা এসেছেন, যার উদ্দেশ্য শুধু অন্যদের বোকা বানানো। তার কথায় মনে হচ্ছে তিনিও এই একই রকমের উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছেন। শুধু ভাষা নয়, ধর্ম এবং জাতপাতের নামেও এইসব রাজনীতি করা হচ্ছে।
মহারাষ্ট্রেও একই রকম ঘটনা দেখা গেছে। দুই ভাই রাম-লক্ষ্মণের মতো রাজনীতিতে ঢুকেছে, কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য সন্দেহজনক। তারা সাধারণ মানুষকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে।
যে রাজনৈতিক দল দেশের জন্য ভালো কিছু করছিল, তাদের বদলে এনে নতুন লোক বসানো হচ্ছে। যারা সোজা পথে চলছিল, তাদের দলে ভাঙন ধরানো হচ্ছে।
এই সমস্ত কিছুর পেছনে শুধুমাত্র একটাই উদ্দেশ্য—কিভাবে নিজের ক্ষমতা ধরে রাখা যায়। জনগণ যদি সচেতন না হয়, তাহলে এই ধরণের রাজনীতি আমাদের সমাজকে পুরোপুরি বিভক্ত করে দেবে।
জনগণের মধ্যে এখনই সচেতনতা তৈরি করা দরকার। বুঝতে হবে কোন দল দেশের কথা ভাবছে, আর কোন দল শুধু নিজের ক্ষমতার কথা ভাবছে। ভাষা হল আমাদের পরিচয়, এবং তা নিয়ে রাজনীতি দেশের ভবিষ্যতের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।
আমরা যদি এখনই এর বিরুদ্ধে না দাঁড়াই, তাহলে ভবিষ্যতে এই বিভেদ আরও বাড়বে। আমাদের উচিত যারা প্রকৃতপক্ষে দেশের উন্নতির কথা বলে, তাদেরই ভোট দেওয়া।
দেশের প্রতিটি মানুষকে এটা বুঝতে হবে যে ভাষা বা ধর্মের নামে যারা বিভেদ সৃষ্টি করছে, তারা আসলে দেশের শত্রু। তাদের উদ্দেশ্য শুধুই ক্ষমতার রাজনীতি।
আমরা এই প্রতিবেদন থেকে কি শিখতে পারি?
ভাষা হল মানুষের পরিচয়, তা নিয়ে রাজনীতি করলে সমাজ ভেঙে পড়ে।
রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের কাজে বিচার করা উচিত, কথায় নয়।
জনগণের উচিত নিজেদের বিবেক ব্যবহার করা এবং বিভ্রান্ত না হওয়া।
যেকোনো ধরণের ভাষাগত বা ধর্মীয় বিভেদ দেশের অগ্রগতির জন্য বাধা।
প্রতিটি অঞ্চলে ভাষার প্রতি সম্মান থাকা উচিত।
রাজনৈতিক নেতাদের ভাষা নিয়ে ভুল প্রচার বন্ধ করা উচিত।
মিডিয়ার মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করা প্রয়োজন।
শিক্ষার মাধ্যমে মানুষকে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য শেখাতে হবে।
নাগরিকদের উচিত, বিভেদ নয়—ঐক্যের বার্তা ছড়ানো।
এই রিপোর্ট পড়ে মানুষ বুঝতে পারবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কিভাবে ভাষা বা ধর্মকে ব্যবহার করা হয়। যারা এখনো বিভ্রান্ত, তারা হয়তো সচেতন হবে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এটি ভবিষ্যতে আরও বিভেদ থামাতে সহায়তা করবে।