দিল্লির দূষণ দীর্ঘদিন ধরে এক মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের রোগ, চোখে জ্বালা – এমন বহু সমস্যার শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু এবার এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেওয়া হয়েছে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
আগামী ৪ জুলাই থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত, দিল্লিতে প্রথমবার কৃত্রিমভাবে বৃষ্টিপাত ঘটানোর চেষ্টা করা হবে।
এই অভিনব উদ্যোগের মাধ্যমে মূল লক্ষ্য হলো – বায়ুদূষণ কমানো।
‘ক্লাউড সিডিং’ নামক একটি আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বৃষ্টিপাত ঘটানো হবে।
এই প্রক্রিয়ায় বিমান থেকে মেঘের মধ্যে সিলভার আয়োডাইড (Silver Iodide) ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
সিলভার আয়োডাইড মেঘের জলীয় বাষ্পকে ঘনীভূত করতে সাহায্য করে এবং ফলস্বরূপ বৃষ্টি হয়।
এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি যৌথভাবে পরিচালনা করছে:
আইআইটি কানপুর (IIT Kanpur)
আইএমডি পুনে (IMD Pune)
প্রাথমিকভাবে এই কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ১০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় চালানো হবে।
দিল্লির বায়ুমান (Air Quality) প্রায়ই বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছে যায়।
এর ফলে:
শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট বাড়ে
ফুসফুসের রোগ বেড়ে যায়
চোখ ও গলার জ্বালাভাব হয়
কাজের পরিবেশ দূষিত হয়
কৃত্রিম বৃষ্টি এই দূষণ কণাগুলোকে ধুয়ে ফেলতে সাহায্য করবে।
ফলে বাতাস পরিষ্কার হবে এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হবে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে পরিবেশ রক্ষায় ব্যবহার করা যায়
বড় শহরগুলির দূষণ মোকাবিলায় নতুন পথ খুলে যায়
সরকারি ও গবেষণা সংস্থার যৌথ উদ্যোগের গুরুত্ব বোঝা যায়
পরিবেশ রক্ষায় নাগরিক সচেতনতা ও বিজ্ঞান একসঙ্গে কাজ করতে পারে
গাড়ি ব্যবহার কমিয়ে গণপরিবহন ব্যবহার করা
শিল্পাঞ্চলে নির্গমন নিয়ন্ত্রণে রাখা
গাছ লাগানো ও সবুজায়ন বৃদ্ধি করা
পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো
স্থানীয় প্রশাসনের দিকনির্দেশ মেনে চলা
অন্যান্য শহরও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে দূষণ রোধে কাজ করতে পারে
সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে
শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে
শিক্ষাক্ষেত্রে এই প্রকল্প উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে
এই কৃত্রিম বৃষ্টি প্রকল্প নিঃসন্দেহে দিল্লির আকাশ পরিষ্কার করার একটি ঐতিহাসিক প্রচেষ্টা।
পরিবেশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি একটি সাহসী পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যতের ভারতের জন্য এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।