21.06.2025
আমি একজন সাধারণ গ্রাম্য মানুষ। বর্তমানে চাকরির কারণে উত্তর প্রদেশে শহরের এক ক্যাম্পে থাকছি। এখানকার কিছু বিষয় আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে, যেমন এখানকার চালের দাম ও গুণগত মান।
এখানকার চাল খুব তাড়াতাড়ি রান্না হয়—মাত্র ১৫ মিনিটে—but দাম আমাদের গ্রামের চালের দ্বিগুণ! আমাদের গ্রামে যে দেশি চাল খাই, সেটি ৩০–৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়, এবং রান্না হতে সময় লাগে ৩০–৪০ মিনিট, কিন্তু স্বাদ ও গুণে অনেক ভালো।
আমি বলবো, আপনারাও চেষ্টা করুন দেশি চাল, অর্গানিক চাল খাওয়ার। বাজারের পালিশ করা চাল খেয়ে শুধু পেট ভরবে, শরীর নয়।
শহরে একটা ছোটো ঘর নিলেও খরচ ৫–৬ হাজার টাকার নিচে আসে না। বাইরে বেরোলেই ২০০–৩০০ টাকা একেকবারে খরচ হয়। অথচ গ্রামে এক মাসে ২০০০ টাকায় পুরো পরিবারের খরচ চলে যায়।
সকালবেলা মুড়ি খেয়ে কাজের দিন শুরু করি, সবজি বাজারে সপ্তাহে একদিনই যাই। ফ্রিজ ছাড়াও চলে—আমার বাবা ৭ বছর টাওয়ারে চাকরি করেছেন, ফ্রিজ কেনেননি, আমাদেরও প্রয়োজন হয়নি।
আজ আমি একজন বিদেশী ডাক্তারের লেখা পড়ছিলাম। তিনি ৪০ বছর বয়সে নিজের শরীরের অর্গান টেস্ট করিয়ে দেখলেন, তার অর্গান বয়সের তুলনায় বয়স্ক হয়ে গেছে। এরপর তিনি পরিবার নিয়ে জঙ্গলে চলে গেলেন – না মোবাইল, না বিদ্যুৎ, শুধু প্রাকৃতিক পরিবেশ।
মাত্র ১০ দিনের মধ্যে তার শরীরের সমস্ত ঘড়ি পাল্টে গেল। ২ বছরের মাথায় টেস্ট করালে দেখা গেল, তার অর্গান বয়স কমে গেছে! মানে প্রাকৃতিক পরিবেশে থেকে শরীর নিজের রাস্তায় চলতে শিখেছে।
শহরের চেয়ে গ্রামের জীবন অনেক শান্ত ও সাশ্রয়ী।
দেশি চাল, টাটকা সবজি – এগুলো শরীরের জন্য আশীর্বাদ।
প্রাকৃতিক পরিবেশে মন ও শরীর দুটোই সুস্থ থাকে।
পরিবারের সাথে সময় কাটানো সম্ভব হয়।
প্রযুক্তির আসক্তি কমলে মানসিক চাপও কমে।
ছোটো ছোটো পরিবর্তন আনুন – চাল বদলান, খাবারের ধরণ বদলান।
দেশি ও অর্গানিক খাবারের দিকে মনোযোগ দিন।
নিজের অভিজ্ঞতা অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করুন।
শহর থেকে আস্তে আস্তে গ্রামের দিকে ফিরে যান।
সন্তানদের পড়াশোনা শেষ হলে গ্রামের দিকে জীবন গড়ুন।
ছোট ছোট ব্যবসা বা চাষবাস শুরু করুন।
বাইরে কম বেরিয়ে নিজের পরিবেশ তৈরি করুন।
আধুনিকতা নয়, প্রাকৃতিকতাই আসল সুখ।
অনেকেই বুঝতে পারেন না শহরের কৃত্রিম জীবন তাঁদের কতটা ক্ষতি করছে।
যদি এই লেখা পড়ে একজন মানুষও সিদ্ধান্ত নেন গ্রামে ফিরে যাওয়ার, তাহলেই এই অভিজ্ঞতা সার্থক।
আমরা নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে সমাজে সচেতনতা ছড়াতে পারি।
আমার মত যদি আপনিও গ্রাম থেকে এসে শহরে থাকেন, তাহলে অনুগ্রহ করে একবার ভাবুন – আমরা কোথায় যাচ্ছি? এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন, কমেন্ট করুন, এবং আমাদের নতুন প্ল্যাটফর্ম https://ghostory.in/
এ যুক্ত থাকুন।
এই কনটেন্ট থেকে আপনি যা শিখতে পারলেন:
শহর শুধু চাকচিক্যের জায়গা নয়, তার পেছনে অনেক মূল্যও আছে।
প্রাকৃতিক জীবন আমাদের দীর্ঘায়ু ও মানসিক শান্তি এনে দেয়।
এই অভিজ্ঞতাকে অন্যের উপকারে লাগাতে চান?
এটি ফেসবুকে, হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করুন, এবং আপনার গল্প ghostory.in-এ পাঠান।